Saturday, March 15, 2025

টেকনাফে ৫০ হাজার ইয়াবাসহ ৩ যুবক আটক র‍্যাবের বিশেষ অভিযানে

আরও পড়ুন

কক্সবাজারের টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমোড়া এলাকায় চেকপোষ্ট স্থাপন করে ৫০ হাজার পিস ইয়াবাসহ তিন রোহিঙ্গাকে মাদক কারবারীকে আটক করেছে র‌্যাব-১৫ এর সদস্যরা।

আটককৃত মাদক কারবারীরা হলেন, টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমোড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প-২৭, ব্লক-এ/৪ এর বাসিন্দা মৃত মীর আহমদের ছেলে কামাল হোসেন (২৪),
একই ক্যাম্প ব্লক-এ/৫, এর বাসিন্দা রশিদ আহমেদের ছেলে আব্দু রাজ্জাক (৩৭) ও একই
ক্যাম্পের, ব্লক-এ/৫ এর বাসিন্দা মৃত নজির হোসেনের ছেলে কামাল হোসেন (২৮)।

কক্সবাজার র‌্যাব-১৫ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও
সিনিয়র সহকারী পরিচালক (ল’ এন্ড মিডিয়া)
মোঃ আবু সালাম চৌধুরী গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

আরও পড়ুনঃ  ধানমন্ডি ৩২ বাড়ি ভাঙচুরের জন্য যাকে দায়ী করলেন অন্তর্বর্তী সরকার

তিনি জানান,রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) রাতে
র‌্যাব-১৫, আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে, কতিপয় মাদক কারবারী বিপুল পরিমাণ মাদক নিয়ে টেকনাফ থেকে সিএনজি যোগে কক্সবাজারের দিকে আসছে। এমন নির্ভরযোগ্য তথ্যের প্রেক্ষিতে র‌্যাব-১৫, সিপিএসসি’র একটি আভিযানিক দল টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমোড়া এলাকার জাদি পাহাড়ের প্রধান গেইটের সামনে টেকনাফ-কক্সবাজার মহাসড়কের উপর একটি অস্থায়ী চেকপোষ্ট স্থাপন করতঃ মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।

র‌্যাবের আভিযানিক দল চেকপোষ্টে তল্লাশী অভিযানের একপর্যায়ে একটি সিএনজি তল্লাশীকালে সিএনজিতে যাত্রীবেশে থাকা ৩জন যাত্রীর গতিবিধি সন্দেজনক হওয়ায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদেরকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা নিজেদেরকে রোহিঙ্গা নাগরিক বলে স্বীকার করে এবং তাদের হেফাজতে মাদকদ্রব্য ইয়াবা রয়েছে বলে জানায়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত ব্যক্তিদের দেহ ও সাথে থাকা পলিব্যাগ তল্লাশী করে তাদের হেফাজত হতে সর্বমোট ৫০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার এবং ২টি এন্ড্রয়েট মোবাইল, ১টি বাটন ফোন, ৫টি সীম কার্ড ও নগদ ৩ হাজার একশত টাকা জব্দ করা হয়।

আরও পড়ুনঃ  তাফসির মাহফিলের নামে চাঁদাবাজি করছে জামায়াতে ইসলামী: হারুনুর রশিদ

জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা তাদের ইয়াবা কেনা-বেচা চক্রের আরও এক রোহিঙ্গাসহ তিনজন পলাতক মাদক কারবারীর নাম-ঠিকানা প্রকাশ করে। জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায় যে, আটককৃতরা মিয়ানমারের নাগরিক হওয়ায় নিজ দেশের বিভিন্ন এলাকা ও সেখানকার পরিস্থিতি ছাড়াও দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবস্থান করায় এখানকার পরিবেশ সম্পর্কে তারা ধারণা লাভ করে। এই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারী চক্রটি স্থানীয় মাদক কারবারীদের সহায়তায় দীর্ঘদিন ধরে কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ইয়াবা পাচার করে আসছিল বলে জানায়।

আরও পড়ুনঃ  শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণের বিষয়ে ভারতের সংসদে আলোচনা

পলাতক অজ্ঞাত মাদককারবারিদের পূর্ণাঙ্গ নাম ঠিকানা সংগ্রহসহ গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত আছে ।
আটককৃত মাদক কারবারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের পর টেকনাফ মডেল থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

[sc name=”eb” ][/sc]

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ