রাজধানীর বেইলি রোডে একটি বহুতল ভবনে আগুন লেগে ৪৩ জন মারা গেছেন। এ ছাড়া দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন আরও ২২ জন।
বেইলি রোডে একটি বহুতল ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ছবি: মো. মাহাদী ইসলাম ধ্রুব
বেইলি রোডে একটি বহুতল ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ছবি: মো. মাহাদী ইসলাম ধ্রুব
মো. মাহাদী ইসলাম ধ্রুব
বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটে আগুন লাগার পরপরই পাশের নাভানা টাওয়ারের বাসিন্দা নীলা বেগম ভয়াবহ এ দৃশ্যের সাক্ষী হন। এমন নির্মম দৃশ্য অকল্পনীয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আগুনের ভয়াবহতা তুলে ধরে নীলা বলেন,
শুরুতে শুধু নিচতলায় সামান্য আগুন ছিল। হঠাৎ করে অল্প আগুন কীভাবে এত ভয়াবহ রূপ ধারণ করলো তা কোনোভাবেই বুঝতে পারলাম না। দেখলাম ফায়ার সার্ভিস খুব দ্রুত আসছে। শুরুতে আশপাশ থেকে নেয়া ফায়ার ডিস্টিংগুইশার এবং বালু দিয়ে নেভানো হয়। কিন্তু হঠাৎ করে আবার কীভাবে আগুন লাগলো তা কিছুইতে বুঝে উঠতে পারলাম না।
এই প্রত্যক্ষদর্শী আরও বলেন,
এমন ভয়াবহ দৃশ্য আমি কখনোই দেখিনি। তিন বাচ্চাকে নিয়ে লাফ দেয়ার চেষ্টা করছিলেন একজন। এরমধ্যে একটা বাচ্চাকে ছেড়ে দেন তিনি। এমন নির্মম দৃশ্য অকল্পনীয়।
বেইলি রোডে আগুন: ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক গুরুতর আহত
ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেল থেকে জানানো হয়, রাত ৯টা ৫০ মিনিটে আগুন লাগার খবর পান তারা। প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ৯টা ৫৬ মিনিটে। পরে আগুনের ভয়াবহতা ছড়িয়ে পড়লে আরও ১২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে পুলিশ, আনসার, র্যাব ও এনএসআই। ১৩টি ইউনিটের ২ ঘণ্টার চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় হতাহতদের খোঁজখবর নিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) ছুটে যান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। ব্রিফিংয়ে তিনি জানান, অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনায় দগ্ধ হয়ে ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট ও ঢামেকে ভর্তি আছেন আরও ২২ জন। তাদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক।