অদম্য ইচ্ছাশক্তি, দৃঢ় সংকল্প ও কঠোর অধ্যবসায় থাকলে মানুষ যে কোনো অসাধ্যকে সাধন করতে পারে তার উদাহরণ রংপুরের পীরগাছার মাত্র ১২ বছর বয়সী ছোট্ট সোহেল রানা। সাধারণত পবিত্র কোরআনের হাফেজ হতে কমপক্ষে ২ থেকে ৩ বছর সময় লাগলেও মাত্র ৮ মাসেই হিফজ শেষ করে অনন্য নজির স্থাপন করেছেন তিনি।
কৈকুড়ি ইউনিয়নের মকরমপুর গ্রামের সোহেল রানা স্থানীয় মিরাপাড়া দারুল ঈমান হাফিজিয়া ও কওমি মাদ্রাসার হিফজ বিভাগের শিক্ষার্থী। ভ্যানচালক বাবা আব্দুর রশিদের ২য় সন্তান তিনি। তার এই অভাবনীয় সাফল্যে খুশি তার বাবা-মা, শিক্ষক ও এলাকার লোকজন।
দ্রুত হাফেজ হওয়ার পেছনে তার প্রবল ইচ্ছা ও চেষ্টাকেই সবচেয়ে বড় কারণ বলে জানান হাফেজ সোহেল রানা। সহপাঠীরা যখন খেলাধুলা করতে, তিনি সে পড়ত। এ সময় ওস্তাদদের সহযোগিতার কথাও বলতে ভুলেননি।
সোহেল রানা আরও বলেন, তিনি বড় আলেম হওয়ার স্বপ্ন দেখেন। দেশ ও বিদেশে ইসলাম প্রচারে অবদান রাখতে চান।
সোহেল রানার বাবা এবং মায়ের ইচ্ছা ছিল ছেলেকে হাফেজ বানাবেন। সৃষ্টিকর্তাকে শুকরিয়া জানিয়ে তারা জানান, তাদের এই স্বপ্ন ছেলে এত দ্রুত পূরণ করতে পারবে তা তারা স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেননি।
মাদ্রাসাটির শিক্ষক ও পরিচালক হাফেজ মাওলানা আব্দুল আহাদ বলেন, সাধারণত হাফেজ হতে ২ থেকে ৩ বছর সময় লাগলেও সোহেল রানা খুব মেধাবী ও পরিশ্রমী হওয়ায় মাত্র ৮ মাসেই হিফজ সম্পন্ন করতে পেরেছে।
মিরাপাড়া দারুল ঈমান হাফিজিয়া ও কওমি মাদ্রাসার শিক্ষক ও পরিচালক হাফেজ মাওলানা আব্দুল আহাদ বলেন, সঠিক পরিচর্যা পেলে মাদ্রাসা লাইনেও ভবিষ্যতে বড় আলেম হয়ে দেশ-বিদেশে বাংলাদেশের সুনাম বয়ে আনতে সক্ষম সোহেল রানারা। তাই সোহেল রানাদের মতো যারা অত্যন্ত মেধাবী তাদের সরকারিভাবে বৃত্তি ও পুরষ্কৃত করার আহ্বান এই শিক্ষকের।