Saturday, March 15, 2025

বাকৃবি থেকে গ্র্যাজুয়েট সনদ আনার পথে মৃত্যু আফসানা মিমির

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রী আফসানা মিমির (২৬) বাসা গোপালগঞ্জ শহরের হীরা পারি রোডের বাইলেন। সে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের হর্টিকালচার থেকে এমএস শেষ করেছেন। আজ রোববার (১৯ মার্চ) সকালে এমএসের সনদ আনতে আফসানা মিমি দুর্ঘটনাকবলিত ইমাদ পরিবহণের বাসে চড়ে ময়মনসিংহে যাচ্ছিলেন

আফসানার এই সনদ আনাই যেন কাল হলো। এসব কথা বলে চিৎকার করে আর্তনাদ করছেন আফসানার মা কানিজ ফাতেমা। তার আহাজারিতে আশপাশের লোক জড়ো হয়ে তাকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু কোনভাবেই তাকে সান্ত্বনা দেওয়া যাচ্ছে না।

আরও পড়ুনঃ  নাইক্ষ্যংছড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে কিশোরীর আত্মহত্যা

রোববার সকালে মা কানিজ ফাতেমা ও ছোট বোন রুকাইয়া ইসলাম রূপা গোপালগঞ্জ শহরের বঙ্গবন্ধু কলেজের সামনে থেকে আফসানাকে ইমাদ পরিবহণের বাসে উঠিয়ে দেন। তার ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার কথা ছিল।

আফসানার বাবা আবু হেনা মোস্তফা কামাল একজন সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন। ছোটবেলায় আফসানার বাবা মারা যান। অনেক কষ্ট করে আফসানা ও তার বোন রুকাইয়া ইসলাম রূপার লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছিলেন মা কানিজ ফাতেমা।

পদ্মা সেতুর আগে ভাঙ্গা-ঢাকা বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়ের মাদারীপুর জেলার শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় ইমাদ পরিবহণের বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিচে পড়ে যায়। এ ঘটনায় ১৯ জন প্রাণ হারান। তারমধ্যে গোপালগঞ্জের আফসানা মিমিসহ ৫ জন মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। অন্যরা হলেন গোপালগঞ্জ শহরের সামচুল হক রোডের সুরভী আলম সুইটি (২২), গোপালগঞ্জ পরিবার পরিকল্পনার উপ-পরিচালক অনাদিরঞ্জন মজুমদার (৫৩), বাসের সুপারভাইজার সদর উপজেলার মানিকদাহ গ্রামের মিনহাজুর রহমান বিশ্বাস (৪০), বাসের ড্রাইভার জাহিদ, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বনগ্রামের মোস্তাক শেখ (৪০) ও মুকসুদপুর উপজেলার আদমপুর গ্রামের মাসুদ খান (৩০)।

আরও পড়ুনঃ  কলেজের পিয়ন আবার স্কুলের প্রধান শিক্ষকও তিনি

পরিবহণ ম্যানেজার সূত্রে জানা গেছে, খুলনা থেকে ছেড়ে যাওয়া ঢাকাগামী ইমাদ পরিবহণের বাসটিতে গোপালগঞ্জ জেলা থেকে ১৪ জন যাত্রী ওঠেন। তবে, তারা নিশ্চিত করতে পারেননি এর মধ্যে কতজন মারা গেছেন।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ