Saturday, March 15, 2025

টাঙ্গাইলের সেই সাবেক ইউএনও’র বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

আরও পড়ুন

টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মনজুর হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। গত মাসের ১৭ তারিখ আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন ওই নির্বাহী কর্মকর্তা। গত মঙ্গলবার আদালত বাদীর জবানবন্দী গ্রহণ করেন। এ সময়ও নির্বাহী কর্মকর্তা অনুপস্থিত থাকায় আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. মাহমুদুল মোহসীন এ আদেশ দেন।

জানা যায়, ২০২২ সালের ২১ জুন ভুক্তভোগী কলেজছাত্রী বাদী হয়ে দণ্ডবিধির ৪৯৩, ৪৯৪ ও ৪৯৬ ধারায় ওই সাবেক ইউএনওর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন। আদালত এ মামলায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দেন। পরে পুলিশ ২০২২ সালের ২৯ ডিসেম্বর মো. মনজুর হোসেনের বিরুদ্ধে ৪৯৩ ধারা প্রমাণিত হয়েছে মর্মে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে।

আরও পড়ুনঃ  বিয়ে করতে এসে পুলিশ হেফাজতে ২ সমকামী কিশোরী

ওই কলেজছাত্রী জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, ২০২১ সালে বাসাইলের ইউএনও মো. মনজুর হোসেনের সঙ্গে তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পরিচয় হয়। এরপর বিয়ের কথা বলে ইউএনও তার সরকারি বাসভবনে ডেকে নিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করেন। পারিবারিকভাবে তার (ছাত্রীর) বিয়ে অন্য জায়গায় ঠিক হলে তিনি (ছাত্রী) বিয়ের জন্য ইউএনওকে বলতে থাকেন। ইউএনও বিয়ের কথা বলে তাকে বাড়ি থেকে চলে আসতে বলেন এবং টাঙ্গাইল শহরের পাওয়ার হাউজের কাছে একটি বাসা ভাড়া নেন। সেই বাসায় তারা দুই মাস থাকেন। এ ছাড়াও গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর রাতে বেনাপোল হয়ে তাকে (ছাত্রীকে) নিয়ে ইউএনও ভারতে যান। সেখানে থাকার সময় তার মুঠোফোন থেকে দুজনের ভিডিও এবং কথোপকথন মুছে ফেলেন ইউএনও। ভারতে ১২ দিন অবস্থানের পর ৫ অক্টোবর তারা দেশে ফিরে আসেন। তারপর থেকে ইউএনও তাকে এড়িয়ে চলতে থাকেন।

আরও পড়ুনঃ  প্রিন্টারে প্রিন্ট করে রুমে রুমে নকল সরবরাহ করছিলেন অধ্যক্ষ

অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয় বিষয়টি জেলা প্রশাসনকে তদন্তের নির্দেশ দেয়। পরে জেলা প্রশাসন গত বছরের ৭ এপ্রিল ওই কলেজছাত্রী, সাবেক ইউএনও মো. মনজুর হোসেন, তার গাড়িচালক বুলবুল মোল্লাসহ ছয় জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে প্রতিবেদনটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে প্রেরণ করেন।

এ বিষয়ে বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. শফিকুল ইসলাম রিপন বলেন, আদালত এ মামলার বাদীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। এ সময় বিবাদী মনজুর হোসেন আদালতে অনুপস্থিত থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

আরও পড়ুনঃ  সাধারণ যাত্রীদের সঙ্গে ট্রেনে চড়ে চট্টগ্রাম গেলেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২১ জুন ভুক্তভোগী ওই কলেজছাত্রী টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সদর আমলি আদালতে মামলা করেন।। ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে ইউএনও মো. মনজুর হোসেনকে বাসাইল থেকে ঢাকায় বদলি করা হয়। সর্বশেষ তিনি নদী রক্ষা কমিশনের উপ-পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। কলেজছাত্রীর অভিযোগের বিষয়টি গণমাধ্যমে আসলেও মন্ত্রিপরিষদের তদন্তে তার দোষ প্রমাণিত হলে মনজুর হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ